ভোপাল : আগেই পাঞ্জাবের লুধিয়ানা নগর নিগম নির্বাচনে বিরাট সফলতা পেয়েছে সেই রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস৷ আগামী বছরে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দুটি বিধানসভা উপনির্বাচনে লড়ে জিততে পারল না শাসক দল বিজেপি। একটিতে ইতিমধ্যে জয়ী ঘোষিত হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী। অন্যটিতেও জয়ের পথে। মনগাওলি আসনে কংগ্রেস ২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের হয়ে ব্রিজেন্দ্র সিং যাদব বিজেপির বাবা সাহেব যাদবকে হারিয়ে দিয়েছেন।
এবার আরও এক পদ্ম দুর্গে কংগ্রেসের শক্তি পরীক্ষার পালা৷ মধ্যপ্রদেশের মঙ্গোলি ও কোলারস বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রাথমিক ফলে এগিয়ে কংগ্রেস৷ দুই কেন্দ্রের বিধায়কদের প্রয়াণে হচ্ছে উপনির্বাচন৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই কেন্দ্রই কংগ্রেস দখল করেছিল৷ তবে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে৷ সেইদিক থেকে উপনির্বাচন দুই শিবিরের কাছে মর্যাদার লড়াই৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, মূলত লড়াইটা হচ্ছে দুই শিবিরের দুই প্রধান মুখ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বনাম কংগ্রেসের তরুণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার৷ দেশজুড়ে বিজেপির প্রবল শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে৷ আর কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে একের পর এক রাজ্য৷ একমাত্র পাঞ্জাব তাদের কাছে সুখবর এনে দিয়েছে৷ তবে প্রবল বিজেপি হাওয়ার মধ্যেও রাজস্থানে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোয় স্বস্তি পেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ সেখানে তাঁর জয়ের কাণ্ডারি হন তরুণ নেতা সচিন পাইলট৷ তিনটি আসনে কংগ্রেস জয়ী হতেই অস্বস্তি বাড়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়া রাজে সিন্ধিয়ার৷
এদিকে আর একটি আসনে কোলারসে কংগ্রেস শেষ মুহূর্তের গণনায় কয়েক হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে। অন্তত বিজেপির সঙ্গে পার্থক্য ৪৩০০ ভোটের। এখানেও কংগ্রেস জিতবে বলে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। মনগাওলিতে ১৩, ১৪ ও ১৫ রাউন্ডে এসে বিজেপি পরপর লিড নেয়। ফলে লিড কমে গিয়েছিল কংগ্রেসের। ১৬ তম রাউন্ডে কংগ্রেস ফের লিড নেয়। শেষপর্যন্ত কংগ্রেস জয়ী হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন