লখনউ : বোধহয় একেই বলে সম্প্রীতির নজির। হোলির উৎসবে শামিল হতে হিন্দুদের জন্য সৌহার্দের হাত বাড়িয়ে দিলেন ইমাম। কারণ, জুম্মাবারেই যে হোলি। তাই হিন্দুদের জন্য রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার পথ প্রশস্ত করে দিলেন একটি অনুরোধে।
স্থানীয় সব মসজিদগুলিকে তাঁর বিনীত অনুরোধ, দুপুরের দিকে জুম্মার নমাজে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। যাতে ওই সময় হিন্দু ভাইয়েরা হোলির আনন্দে ভাসতে পারেন। সেজন্য শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হোলির দিন নমাজ পড়ার সময় বদলে ফেলল দুই মসজিদ। উত্তরপ্রদেশের শিয়া ও সুন্নি ধর্মগুরুরা এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আগামী ২ মার্চ, শুক্রবারে পড়েছে হোলি। আর শুক্রবারই মুসলিমদের নমাজ পড়ার দিন। তাই এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যেই লখনউয়ের ওই ইদগায় নমাজের সময় পালটে দুপুর ১.২৫ মিনিট পর্যন্ত করা হয়েছে। লখনউয়ের আইশবাগ ইদগা-র ইমাম মৌলানা খালিদ রশিদ ফিরঙ্গি মাহালি জানিয়েছেন, বছরে একবার আসে হিন্দুদের এই পার্বণ।
নমাজের মত হোলিও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে অন্য ইমামরাও সহমত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। পণ্ডিত মৌলানা কালবে জাওয়াদও আসিফি মসজিদে প্রার্থনার সময় বদল করেছেন বলে জানান মাহলি। এর আগে হিন্দুরাও এ ধরনের পদক্ষেপ করেছিল বলে জানান তিনি। মাহলি বলেন, বকরি ঈদের সঙ্গে একই সময়ে হওয়ার ফলে এবছর জগন্নাথ যাত্রা দু ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়, তার রুটও বদল করা হয়। সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে যাতে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছয় সেই জন্যই এই প্রচেষ্টা। এমনটা হলে ইতিহাসে প্রথম হোলির জন্য নমাজের সময়ে পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে দেশ।
প্রসঙ্গত, সোমবারই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হোলি উপলক্ষ্যে সরকারি আধিকারিক, সচিব-আমলা স্তরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। তারপরই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে হোলির দিন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার হোলি উপলক্ষ্যে গোটা রাজ্যে পর্যাপ্ত জল এবং বিদ্যূৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য যোগী প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ইমামের এমন সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি লখনউয়ের বাসিন্দারা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন