এগরা : পলিথিন-থার্মকল-প্লাস্টিকে আটকে যাচ্ছে নিকাশি নালার মুখ। একটু বৃষ্টি হলেই নালার উপচানো জলে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা।তবু এগরা শহরে প্লাস্টিক ব্যবহারে কমতি নেই।বাজার করা থেকে জঞ্জাল ফেলা-সবই হচ্ছে পলিথিন ব্যবহার করে।সঙ্গে দোসর থার্মকলের থালা-বাটি।যে কোন বাড়িতে অনুষ্ঠানের পর এই থালা-বাটি ফেলা হচ্ছে নালায়।এগরা শহরের কয়েকটি পাইকারি দোকান থেকে প্লাস্টিক,পলিথিন ব্যগ,থারমোকলের নিত্য ব্যাবহারের জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়।পাইকারি দোকানগুলি থেকে পলিব্যগ কেনে খুচরো দোকানদাররা ।
শহরে প্রায় ৪০০০ লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান রয়েছে।এর মধ্যে মাছ,মাংস, কাঁচা আনাজ,চাল,মসলাপাতি, মনোহরি জিনিসপত্রের প্রায় ১০০০ দোকানে প্রতিদিন ক্রেতাদের পলিব্যাগে জিনিসপত্র দেওয়া হয় । ফলে,প্রতিদিন সেই সব দোকানগগুলি থেকে যে পরিমান পলিব্যাগ শহরে ছড়িয়ে যাচ্ছে তা রীতিমতো উদ্বেগের বলেই মানছেন স্বয়ং পুর-প্রধান শঙ্কর বেরা।পুরসভা সুত্রে খবর,শহরের ১৪ টি ওয়ার্ড জুড়ে মাইকে প্রচার করে সব মহলকে সচেতন করা হয়েছে। তারপরেও পলিব্যাগ-সহ দুষনকারক সরঞ্জাম এর যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করা যায় নি।পলিব্যগের ব্যবহার কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না,প্রশ্ন তুলেছেন শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। পুরসভার সাফাই হল, পলিথিন ব্যাগ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে হলে উপযুক্ত নজরদারিও প্রয়োজন । সেই নজরদারি চালানোর মত পরিকাঠামো পুরসভার নেই।এ বিষয়ে এগরা পুরসভার পুর প্রধান শঙ্কর বেরা বলেন,"শহরকে পলিথিন ও প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন