অবশেষে অবস্থান বিক্ষোভ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে - Aaj Bikel
অবশেষে অবস্থান বিক্ষোভ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

অবশেষে অবস্থান বিক্ষোভ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

Share This


কলকাতা  : অবশেষে বত্রিশ ঘণ্টা পর অবস্থান মুক্ত হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় । বুধবার ভোররাতে বিক্ষোভ তুলে নেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা । বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি বৈঠকে সবপক্ষকে নিয়ে ফোরাম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । আজ বুধবার ফোরামের বৈঠক হবার কথা । ছাত্র সংসদ নির্বাচন ফেরানোর দাবিতে যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আন্দোলনে নামেন । বারবার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় পাল্টা কড়া অবস্থানের ইঙ্গিত দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায় ।

আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, সেন্ট জেভিয়ার্স মডেল নয় । ছাত্র কাউন্সিলের পরিবর্তে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে । সেই মত দ্রুত নির্দেশিকাও জারি করতে হবে । আন্দোলনের জেরে ক্যাম্পাসে আটকে থাকতে হয় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যদের । বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, ছাত্র কাউন্সিল তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের । আইন বদলের আধিকারও সরকারের হাতে । পড়ুয়াদের দাবির ভিত্তিতে একটি খসড়া তৈরি করে সরকার কাছে পাঠানো হবে । প্রয়োজনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের নিয়ে একটি ফোরাম গঠন করা হবে । ৩১ জানুয়ারি ছাত্র সংসদগুলির মেয়াদ শেষ হচ্ছে । তাই, ছাত্র সংসদগুলির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হবে ।

  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব প্রথমে মানতে চাননি আন্দোলনকারীরা । তবে হাল ছাড়েনি কর্তৃপক্ষও । মঙ্গলবার রাতে ইসির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবপক্ষকে নিয়ে ফোরাম গঠিত হয় । তাতেই বরফ গলে । আজ বুধবার দুপুর তিনটের সময়ে বৈঠকে বসার কথা ফোরামের সদস্যদের । এরপরই অবস্থান তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । আপাতত অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নিলেও, এখনই আন্দোলন থেকে সরতে নারাজ যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা । তাঁদের সাফ কথা, ফোরামের বৈঠকে সিদ্ধান্ত জানার পরই আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করা হবে।

ছাত্র ভোটে অশান্তি এড়াতে রাজ্যের প্রতিটি কলেজে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । বিলও পাশ হয় বিধানসভায় । সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা । তাঁদের দাবি, অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংসদ ব্যবস্থাই বহাল রাখতে হবে । আগস্ট মাসে নির্দেশিকা জারির পরই একদফা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পড়ুয়া । সোমবার এই ইস্যুতে ফের বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির সদস্যরা । বৈঠকে হাজির ছিলেন ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরাও । কিন্তু, দফায় দফায় বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি । এরপরই সন্ধ্যা থেকে উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন পড়ুয়ারা ।

অবস্থান উঠতেই ক্যাম্পাস ছাড়েন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তবে এর আগে আন্দোলনকারীদের অনড় মনোভাব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তিনি । পড়ুয়াদের দাবিগুলির পক্ষে থাকলেও, আন্দোলন পদ্ধতি নিয়ে অধ্যাপকদের সংগঠন জুটাও বিরোধিতা করেছিল।

কোন মন্তব্য নেই: