আজ বিকেল: বনগাঁ থানার অন্তর্গত, গাঁড়াপোতা পঞ্চায়েতের অধীন রানিনগর একটা প্রত্যন্ত গ্রাম। এই গ্রামের অধিবাসী অরুণ মণ্ডলের বাড়িতে চলছে অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার কারবার৷ মূলত অরুণ বিশ্বাসের ছেলেই এই কুসংস্কারীয় বুজরুক কারবারের হোতা৷ এলাকার মানুষ তো বটেই দূরদূরান্ত থেকেও বহু মানুষ ভিড় করছে এই বাড়িতে 'চিকিৎসা' পাবার আশায়, 'রোগ সারাবার' আশায়! রোগ নিরাময়(?) আশ্বাসের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও নাকি সিদ্ধহস্ত এই ব্যক্তি৷
প্রতিদিন নানান সমস্যায় জর্জরিত মানুষের আনাগোনা লেগেই আছে এখানে। শত শত টাকা উজাড় করে দিচ্ছে মানুষ। ভিড়টা সবচেয়ে বেশি হয় মঙ্গলবার। সেদিন অরুণ মণ্ডলের ছেলের মাথায় 'ভর' হয়। ভর ভেঙে সে যে 'ওষুধ' দেয় বা উপদেশ পরামর্শ দেয়, তা নাকি অব্যর্থ! একজন থেকে আর একজনের কানে পৌঁছে যাচ্ছে এই অলৌকিক গুজব, আর মানুষ ছুটছে ওখানে।
ওষুধ বলতে কিছু জড়িবুটি, তেল -জল পড়া, মাদুলি কবচ, ঝাড়ফুঁক। ছোটমত একটা ঘরে একটি কালীমূর্তির সামনে পড়ে থাকেন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বাবাজী। অং বং মন্ত্র আওড়ান আর দুর্বোধ্য ভাষায় হাবিজাবি কী সব বলেন। নানান রোগ সারাবার দাবিতে মানুষ দলে দলে ছুটে যাচ্ছে। শিক্ষিত অশিক্ষিত সব ধরণের মানুষের ভিড় হচ্ছে এখানে। শহর থেকেও অনেক বড়লোক শ্রেণির মানুষ আসছেন চারচাকা গাড়িতে চেপে। তাঁদের অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত। কুসংস্কারের কাছে, অন্ধবিশ্বাসের কাছে সমস্ত শিক্ষাদীক্ষা জলাঞ্জলি দিয়ে ছুটছে মানুষ বুজরুকের কাছে!
শারীরিক সমস্ত ধরণের রোগ নিরাময়ের জন্য মানুষ যেমন ছুটছে, ছুটছে মানসিক রোগীকে নিয়েও।
কারো হাঁটু-কোমর ব্যথা, কারো পেট খারাপ, বুক ধড়ফড়, মাথা ঘোরা ইত্যাদি রোগীর পাশাপাশি কালা-বোবা, খোঁড়া রোগীরাও হাজির হচ্ছে । সকলের এক দাওয়াই তেলজল-পড়া, মাদুলি-কবচ! হাজার হাজার টাকা পড়ছে 'মন্দির-চিকিৎসালয়ে'! মঙ্গলবার সকাল হতেই লম্বা লাইন৷
আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ না নিয়ে এই যে অলৌকিক বুজরুকি চিকিৎসার শরণাপন্ন হওয়া, এর পিছনে আছে মানুষের অশিক্ষা অসচেতনতার অভাব। অন্ধবিশ্বাসী হয়ে অনেকে ভাবে, যদি দীর্ঘদিনের পুরাতন রোগ বা সাংসারিক সমস্যা অতি সহজেই সমাধান হয়, তবে এ সুযোগ ছাড়া কেন! অনেকে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের অসুখী, গঞ্জনা লাঘবের জন্য। কেউ আবার নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তির 'সন্ধান পেতে' হত্তে দিয়ে পড়ে আছে। মৃগী, ফিট, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ , মাথা ঘোরা --- ইত্যাদি রোগ নিরাময়ের জন্যও হাজির হচ্ছে৷
এই বুজরুকি কারবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী নীরব। নীরব প্রশাসন। যেখানে বিজ্ঞান-চেতনা, যুক্তিবাদ 'নীরব', সেখানে আমজনতা, প্রশাসন নীরব তো হবেই!
প্রতিদিন নানান সমস্যায় জর্জরিত মানুষের আনাগোনা লেগেই আছে এখানে। শত শত টাকা উজাড় করে দিচ্ছে মানুষ। ভিড়টা সবচেয়ে বেশি হয় মঙ্গলবার। সেদিন অরুণ মণ্ডলের ছেলের মাথায় 'ভর' হয়। ভর ভেঙে সে যে 'ওষুধ' দেয় বা উপদেশ পরামর্শ দেয়, তা নাকি অব্যর্থ! একজন থেকে আর একজনের কানে পৌঁছে যাচ্ছে এই অলৌকিক গুজব, আর মানুষ ছুটছে ওখানে।
ওষুধ বলতে কিছু জড়িবুটি, তেল -জল পড়া, মাদুলি কবচ, ঝাড়ফুঁক। ছোটমত একটা ঘরে একটি কালীমূর্তির সামনে পড়ে থাকেন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বাবাজী। অং বং মন্ত্র আওড়ান আর দুর্বোধ্য ভাষায় হাবিজাবি কী সব বলেন। নানান রোগ সারাবার দাবিতে মানুষ দলে দলে ছুটে যাচ্ছে। শিক্ষিত অশিক্ষিত সব ধরণের মানুষের ভিড় হচ্ছে এখানে। শহর থেকেও অনেক বড়লোক শ্রেণির মানুষ আসছেন চারচাকা গাড়িতে চেপে। তাঁদের অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত। কুসংস্কারের কাছে, অন্ধবিশ্বাসের কাছে সমস্ত শিক্ষাদীক্ষা জলাঞ্জলি দিয়ে ছুটছে মানুষ বুজরুকের কাছে!
শারীরিক সমস্ত ধরণের রোগ নিরাময়ের জন্য মানুষ যেমন ছুটছে, ছুটছে মানসিক রোগীকে নিয়েও।
কারো হাঁটু-কোমর ব্যথা, কারো পেট খারাপ, বুক ধড়ফড়, মাথা ঘোরা ইত্যাদি রোগীর পাশাপাশি কালা-বোবা, খোঁড়া রোগীরাও হাজির হচ্ছে । সকলের এক দাওয়াই তেলজল-পড়া, মাদুলি-কবচ! হাজার হাজার টাকা পড়ছে 'মন্দির-চিকিৎসালয়ে'! মঙ্গলবার সকাল হতেই লম্বা লাইন৷
আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ না নিয়ে এই যে অলৌকিক বুজরুকি চিকিৎসার শরণাপন্ন হওয়া, এর পিছনে আছে মানুষের অশিক্ষা অসচেতনতার অভাব। অন্ধবিশ্বাসী হয়ে অনেকে ভাবে, যদি দীর্ঘদিনের পুরাতন রোগ বা সাংসারিক সমস্যা অতি সহজেই সমাধান হয়, তবে এ সুযোগ ছাড়া কেন! অনেকে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের অসুখী, গঞ্জনা লাঘবের জন্য। কেউ আবার নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তির 'সন্ধান পেতে' হত্তে দিয়ে পড়ে আছে। মৃগী, ফিট, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ , মাথা ঘোরা --- ইত্যাদি রোগ নিরাময়ের জন্যও হাজির হচ্ছে৷
এই বুজরুকি কারবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী নীরব। নীরব প্রশাসন। যেখানে বিজ্ঞান-চেতনা, যুক্তিবাদ 'নীরব', সেখানে আমজনতা, প্রশাসন নীরব তো হবেই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন