অতনুর পর এবার ভবানীশঙ্কর! বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার - Aaj Bikel
অতনুর পর এবার ভবানীশঙ্কর! বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

অতনুর পর এবার ভবানীশঙ্কর! বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

Share This



হাওড়া: এমএ পাশ করার পর মিলেছিল ঘর মোছার চাকরি। পদে পদে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে৷ নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ভবানীশঙ্কর পাল৷ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হাওড়ার বালির নিমতলা এলাকায়। 

আরও পড়ুন- এক নজরে অগস্টের সমস্ত পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়সূচি
ফেসবুকে চাকরি খবর জানতে ক্লিক করুন


জানা গিয়েছে, বাড়ির সামনেই জিটি রোডের উপর লরির সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মঘাতী হন বছর ২১-এর ভবানীশঙ্কর৷ এদিন রাতের এই ঘটনা জানা জানি হতেই গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়৷ শুক্রবার সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ জানতে পারে, লরির মাঝখানে নিজেই আত্মহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকে পড়েন ওই যুবক। রাত তখন প্রায় ১২-০৫। ওই লরিতেই তিনি পিষ্ট হন যুবক৷ 

আরও পড়ুন- ইন্টারভিউয়ে ডেকেও ফেরত প্রার্থীদের, স্বাস্থ্য ভবনে ক্ষোভ


মেধাবী ছাত্র ভবানী বেলুড় মঠ থেকে দুবছর আগে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করে টাটাতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে জয়েন করেছিলেন। কিন্তু, সেখানেও মেলেনি যোগ্য কাজ। তাঁকে দিয়ে ঘর সাফাই, নর্দমা পরিষ্কার করান, মাল ওঠানো-নামানো করানো হত।  ধীরে ধীরে হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে৷ 

অফিসে হেনস্থার শিকার হয়ে বাড়িতে হতাশার কথা বলতেন তিনি৷ গত জানুয়ারিতে চাকরি ছেড়ে চলে এসেছিলেন ভবানী। জিটি রোডে মামার লেদ কারখানায় কাজ করছিলেন। কিন্তু, একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে লেদ করখানায় কাজ করতে গিয়েও আরও হতাশ হয়ে পড়ে ভবানীশঙ্কর৷ ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে মামার বাড়িতে মানুষ ভবানীশঙ্কর৷ তা বলে আত্মহত্যা করে বসবেন একথা কেউ ভেবে উঠতে পারছেন না। 
চলতি সপ্তাহেই বেকারত্বের জ্বালায় সোনারপুরের মেধাবী ছাত্র অতনু মিস্ত্রি আত্মঘাতী হন৷ অতনুর মৃত্যুতে  ঝড় উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ অতনুর পরিবারের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করেছেন তাঁর বন্ধুরা৷ বেকারত্বের জ্বালায় মেধাবী ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় দুঃখ ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে নিজেদের প্রোফাইল ছবি বদলে দেওয়ারও আর্জি জানানো হয়৷ অতনুর স্মরণে আগামী ১৬ আগস্ট একটি শোক মিছিলেরও ডাক দিয়েছে সল্টলেক করুণাময়ীয় এএসসি দফতরের সামনে৷
শুক্রবার বেলুড়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুর পর চাকরি-প্রার্থীদের মধ্যে আরও হতাশা তৈরি করেছে৷ সোনারপুর থানার নতুনপল্লি এলাকার অতনুর মৃত্যুর ঘটনা রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যকে৷ পরপর দুই চাকরি প্রার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ বেকারত্বের জ্বালায় এভাবে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে৷ চাকরি না পেয়ে হতাশায় এভাবে আর কত অতনু-ভবানীর প্রাণ দিতে হবে? টাকার বদলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার রীতি কবে বন্ধ হবে? চাকরি দেওয়ার নামে সরকারের গাছাড়া মনোভাব আর কবে কাটবে? প্রশ্ন তুলছেন এরাজ্যের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক৷
[left-sidebar]

কোন মন্তব্য নেই: