কলকাতা: ডিএ সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত৷ ডিএ নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে সরকারই৷ কলকাতা হাইকোর্টে ডিএ মামলায় মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন স্টেট এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (স্যাট) বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত৷
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় গত নভেম্বরে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্যাইব্যানালে মামলা দায়ের করেন৷ চলতি বছরের শুরুতে ‘স্যাট’ সাফ জানিয়ে দেয়, ডিএ দেওয়া সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে৷
ট্রাইব্যুনালের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মলয় মুখোপাধ্যায়৷ এই মামলার শুনানি হয় আদালতে৷রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এ দিন বলেন, “ডিএ কোনও আইনি অধিকার নয়৷ আদালতের এই বক্তব্যে আমি খুশি৷ রাজ্য সরকারি কর্মীরা এখন পে ব্যান্ডের আওতায়৷ গ্র্যান্ড পে সিস্টেমের আওতাভুক্ত তাঁরা৷”
আগামি সোমবার ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি৷ ক’দিন আগে আদালতে রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, “সময়ে ডিএ না দিলে তা উদ্দেশ্য হারায়৷ ডিএ দেওয়া উচিত যুক্তিগ্রাহ্য সময়ে৷ ২০১৮-র ডিএ নিশ্চয়ই ২০২৮-এ দেওয়া যায় না৷” একই সঙ্গে রাজ্যের পঞ্চম বেতন কমিশনের তথ্য চায় হাইকোর্ট৷ এ ছাড়া বেশ কিছু প্রশ্ন রাজ্য সরকারের সামনে রাখে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ৷
আদালত সূত্রে খবর, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চে অন্তত পাঁচবার শুনানি হয় এই মামলার৷ রাজ্য ও মামলাকারী উভয়ের তরফে হলফনামাও চেয়ে পাঠায় আদালত৷ কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বিচারপতি নিশীথা মাত্রের অবসরের পর মামলাটি স্থানান্তরিত হয়৷ প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এই মামলা৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন