কলকাতা : দক্ষিণ শহরতলীর জল দূষণের প্রকোপ কমলেও আতঙ্ক কমেনি ৷ কেনা জলও ফুটিয়ে খাচ্ছেন বাসিন্দারা ৷ আতঙ্ক বেড়েছে ১০২ নং ওয়ার্ডে ৷ গতকাল ওই ওয়ার্ডে বিশ্বজিৎ দাসের মৃত্যু হয় ৷ আজ দুপুরের মধ্যে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল নতুন করে হাসপাতালে ভরতি হয় আরও ৪ জন ৷ গতকাল ২৯ জন হাসপাতালে ভরতি ছিলেন৷ এর মধ্যে কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷
ডায়েরিয়া আক্রান্ত এলাকায় মানুষের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ৷ পুরসভার বিরুদ্ধে অগ্রিম ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ ওই এলাকায় বাসিন্দাদের দেওয়ার জন্য ওআরএস বিলি করা হচ্ছে পুরসভার কর্মীদের ৷ প্রশ্ন উঠছে, অসুস্থ হলে ওআরএস দেওয়া হবে ৷ কিন্তু রোগ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ?
দক্ষিণ কলকাতায় প্রতিদিনই বাড়ছে পেটের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর, গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ সকাল ১২টা পর্যন্ত বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০০ জন এসেছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ৪৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “জল থেকে ডায়ারিয়া হচ্ছে।”
পুরসভা আগে জানিয়েছিল, তারা জলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছে কিন্তু সেখানে ডায়ারিয়ার ব্যাকটেরিয়া মেলেনি। কিন্তু যাদবপুর, বাঘাযতীন সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জল দূষণই হয়েছে বলে আঁচ করেছিলেন পদস্থ স্বাস্থ্যকর্তারা। ই-কোলাই থেকেই জল দূষণ হয়েছিল, এমনও আশঙ্কা করেছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষকর্তারা। সেই খবর সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। বুধবার নিজেদের প্রাথমিক রিপোর্টেও স্বাস্থ্যভবনকে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম) জানায়, আক্রান্তদের শরীরে ই-কোলাই ব্যাক্টেরিয়া মিলেছে। আন্ত্রিক কবলিত এলাকার বেশ কয়েকজনের মল পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই নমুনায় ই-কোলাই মিলেছে। তাঁদের আশঙ্কা, জল থেকে এই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ হয়েছে। শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এসটিএম-এর এক পদস্থ কর্তা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন