অব্যাহত বাম-সন্ত্রাস, পুড়ছে রবার বাগান - Aaj Bikel
 অব্যাহত বাম-সন্ত্রাস, পুড়ছে রবার বাগান

অব্যাহত বাম-সন্ত্রাস, পুড়ছে রবার বাগান

Share This


আগরতলা   : ক্ষমতা হারিয়ে এখন বেপরোয়া উঠেছে বামেরা। ক্যাডার-সন্ত্রাস এখনও জারি আছে। পুলিশি তৎপরতায় ক্যাডার-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্পূর্ণভাবে তাদের নিরস্ত্র করা যায়নি। রাজ্যের শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাইছে বলে অভিযোগের তির সিপিআইএম-এর দিকে।

দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া মহকুমার ঋষ্যমুখের সোনাইছড়িতে রাতের আধারে দুই বিজেপি কর্মীর উপর অতর্কিত আক্রমণ সংগঠিত করা হয়। সন্দেহভাজন সিপিআইএম ক্যাডারদের হামলায় স্থানীয় বিজেপি কর্মী রঞ্জিত মজুমদার এবং চন্দন বিশ্বাস গুরুতরভাবে জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাসাধীন।
অন্যদিকে, শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত নারাইফাং ও রাইমোহন দত্তপাড়ায় বিজেপি সমর্থিত দুই কর্মীর রবার বাগান নষ্ট করে ফেলেছে সন্দেহভাজন সিপিআইম-এর কিছু সমর্থক। অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপির ওই দুই কর্মী। রাইমোহন দত্তপাড়ায় অমল সাহার এক বছরের প্রায় ৭০০-এর অধিক রবার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। অপর দিকে নারাইফাং এলাকায় অচিন্ত্য রিয়াঙের চার বছরের ২৫০-এর বেশি রবার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ঘটনাস্থলে বিজেপি-র লোকজন ও আরক্ষা দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত বিজেপি সরকার ত্রিপুরাকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রবারের উপর গুরুত্ব দিয়েছিল। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ সিপিআইএম-এর দলত্যাগী, যারা দিনে বিজেপি ও রাতে সিপিআইএম তারাই নতুন সরকারের এ ধরনের উন্নয়নের ভাবধারাকে নষ্ট করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরিকল্পনামাফিক এ সব করা হচ্ছে। বিজেপি-র স্থানীয় নেতাদের দাবি, এ ভাবে বেশিদিন টিঁকে থাকতে পারবে না এরা। রাজ্যের বিজেপি সরকার এই সকল দরিদ্র লোকজনদের পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, গত রাতে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে গেছে সাতটি দোকান, একটি বসতবাড়ি, বিজেপি ও সিপিআইম-এর পার্টি অফিস। ঘটনাটি ঘটেছে অমরপুর মহকুমার অম্পি সড়ক সংলগ্ন বামপুর বাজারে। খবর পেয়ে ছুটে আসে অম্পি ফায়ার স্টেশনের একটি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন এতটাই ভয়ংকর ছিল যে একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। খবর দিয়ে অমরপুর থেকে আরও দুটি ইঞ্জিন ডেকে পাঠানো হয়। তিনটি ইঞ্জিন মিলে টানা প্রায় দুই ঘণ্টায় আগুন আয়ত্তে আনা হয়। তবে আগুন লাগার পেছনে মূল কারণ জানা যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই: